মেহেদী হাসান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়:
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূত চার্লস হুইটলি এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে রীতিমতো ফাটাকেষ্ট বনে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন মার্কিনিদের যা অবস্থান নির্বাচনের পরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসবে। কিন্তু অনেকের এই আশা মুহূর্তেই গুঁড়ে বালি হয়ে যায়। বরং তাদের নির্বাচনের আগে যে অবস্থান ছিল নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সেই অবস্থান পুরোপুরি উল্টো। তারা এখন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নেই বেশি আগ্রহী যা তাদের কথা বার্তায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ঠিক পরপরই অনেকটা নিষ্ক্রিয় এবং আড়ালে চলে গিয়েছিল এই দুই গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক। অনেকে ধরেই নিয়েছিল যে, নির্বাচন পরবর্তীতে হয়ত বাংলাদেশের ওপর বড় ধরনের বিধি নিষেধ আসতে পারে। তবে এখন সে সময় কিছুই হয়নি। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার বার্তা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীদের সাথে দেখা করে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকাস্থ ইইউ দূত চার্লস হুইটলিও একইভাবে নতুন সরকারের অনেক মন্ত্রীদের সাথে দেখা করে ইইউ এর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সেই আলোচনা করেছেন। স্পষ্টত বাংলাদেশের অনেকেই ভেবেছিল নতুন সরকারের সাথে কোন ভাবেই মার্কিন সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাজ তো করবেই না বরং নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা দিবে। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিই বেশী জোর দিয়েছেন। ইইউ রাষ্ট্রদূতের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করতেও শোনা যায় যা সত্যি অন্যরকম অর্থবহ করে।
নতুন সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বেশী জোর দেয়ার ফলাফলই হয়ত এখন পাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি শান্তি, সুন্দর,বৈষম্যহীন এবং সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ আমাদের সকলের কাম্য।
জেপি/নি-১৮/প