নাঈমুর রহমান, নোবিপ্রবি:

সুখ -দুঃখ  আর স্মৃতিগুলোকে পেছনে রেখে নতুন দিগন্তের আশা-স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকে মানুষ। নতুন দিনের আগমনে নতুন করে গন্তব্য খোঁজে প্রতিটি মানুষ। নতুন বছর মানে নব প্রত্যাশার চাদরে মোড়ানো আশা জাগানিয়া কিছু প্রত্যাশার সমন্বিত রুপ। পুরাতন বছরের সকল দু:খ, কষ্ট,  হতাশাকে পেছনে ফেলে নতুন বছরে এগিয়ে চলার প্রত্যয় সবার। নতুন বছর নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীদের আশা-প্রত্যাশা,পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো. নাঈমুর রহমান।

 "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় স্বদেশ, প্রিয় মাতৃভূমি।  গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। শিক্ষা,  স্বাস্থ্য,  কৃষি, খাদ্য,  তথ্যপ্রযুক্তি, প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকুক, নতুন বছরে এই আমার প্রত্যাশা"।

তাহমিনা আক্তার প্রিয়া

শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ

 "পথশিশুরা যেন তাদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত না থাকে। আমাকে রাস্তায় জ্যামে গাড়িতে বসে থাকার সময় যেন দেখতে না হয় কোনো ফুলের মতো শিশু ফুল বিক্রি করতে এসেছে তার আহারের টাকার ব্যবস্থা করার জন্যে। শিশুশ্রমমুক্ত সমাজ গড়ে উঠুক অনাগত বছরে।  নতুন বছরে আমার তীব্রভাবে প্রত্যাশা থাকবে বাস-স্টেশন,  রেলস্টেশন, পার্ক,  রাস্তা বা খোলা জায়গায় কোনো পথশিশু অনাহারে, উদোম গায়ে ঘুমিয়ে না থাকে। সকল শিশুই সমানভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখুক নবাগত দিনগুলোতে"।

কামরুন্নাহার

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ

“ বর্তমানে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের যুগে পরিবেশ এত বেশি দূষিত যে মানুষের অস্তিত্ব আজ সংকটাপন্ন। তাই পরিবেশ তথা সমাজের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদের অংশ নিতে  হবে। প্রথমত, পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য বৃক্ষরোপণ, বনমহোৎসব, অরণ্যসপ্তাহ, বিশ্বপরিবেশ দিবস উদযাপন করা যেতে পারে । তাছাড়া সমাজের মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বিকাশ, শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যমে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে । একই সাথে স্বার্থলোভী, অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে  সরব হতে হবে।  তাহলে  আমরা এক দূষণমুক্ত ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করতে পারি।  আমাদের মনে রাখতে হবে-

“ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”

আশিকুর জামান জিহাদ

শিক্ষার্থী, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ

একুশ শতকের চ্যালেন্জ মোকাবেলায় দেশের মূল চালিকাশক্তি তরুণসমাজ তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী হবে। পাশাপাশি বিশ্বায়নের এ যুগে নিজেকে আরো বেশি প্রতিযোগিতায় সক্ষম করতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করবে। সর্বোপরি অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে আপামর জনসাধারণ  নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি সচেষ্ট হবে।

মেহেরাব মজুমদার

ইংরেজি বিভাগ

প্রতিবার নতুন বছরে আমরা নতুন আশা এবং নতুন প্রত্যাশা নিয়ে পথচলা শুরু করি। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা ছোটই, সবাই যেনো পরিবেশ নিয়ে একটু হলেও ভাবে। আমাদের চারপাশে আমরা নানা ধরনের দূষণ দেখি প্রতিনিয়ত, যার অধিকাংশই হয় আমাদের উদাসীন আচরণের জন্য। এটাই বৃহৎপরিসরে ঘটাচ্ছে বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্যহীনতা, আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যঝুঁকি অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো। আমরা চাইলেই আমাদের ব্যক্তিগত অভ্যাস এবং কিছু আচরণ অনুশীলনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যেতে পারি। সেই সাথে অপরকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান করতে পারি। পৃথিবী হোক দূষণমুক্ত এবং সকল প্রাণীর বাসযোগ্য।

মাহমুদুল হাসান লোমান

শিক্ষার্থী : পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ

জেটি/নি-৩১/প