আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ সিরিজে প্রথমটিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ক্রিজে ছিলেন শেষ দুই ব্যাটার মেহেদি হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু কেউই টিকে থাকতে পারেননি। ২৩৮ রানেই আল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। ২৮০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ভারত। ভারতের বিপক্ষে রানের মাপকাঠিকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাও পেল টাইগাররা। ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়ের পর তেমন একটা উচ্ছ্বাস নেই ভারতীয়দের মধ্যে। যেন এটাই হওয়ার ছিল!

চেন্নাই টেস্টে ভারতে দেওয়া ৫১৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কিন্তু একেবারে খারাপ করেনি টাইগাররা। ৩ উইকেটে ১৫৮ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে তারা। তবে ৪র্থ দিনে এনে অশ্বিনের তোপে মাত্র ২৩৪ রানেই আল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৮০ রানের বিশাল জয় পায় স্বাগতিক ভারত।

চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের অপরাজিত দুই বাংলাদেশে বোলার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। তবে জীবন পেয়েও ইনিংসকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি সাবিক। দলীয় ১৯৪ রানে আশ্বিনের বলে ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে জয়সাওয়ালের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাকিবের বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের সুন্দর একটি জুটি। ব্যক্তিগত ২৫ রান করেন তিনি।

সাকিবের পরে দ্রুত ফিরে যান লিটন দাসও। ১০ বলে মাত্র ১ রান করেন এই উইকেট রক্ষক। জাদেজার বলে অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

২০৬ রানে ৩৬ উইকেট হারানোর পর মিরাজকে নিয়ে জুটি বাঁধেন শান্ত। দলীয় ২২২ রানে মিরাজ ফিরে গেলে সেই জুটিও ভেঙে যায়। মিরাজের উইকেট নিয়ে ইনিংসে নিজের ৫ উইকেট পূরণ করেন আশ্বিন। মিরাজের বিদায়ের পরের ওভারের সাজ ঘরে ফেরেন শান্ত। ১২৭ বলে ৮২ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেলে জাদেজার বলে জাসপ্রিত বুমরার হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই টাইগার অধিনায়ক। শান্ত আউট হলে বাংলাদেশ ২২ রানে হারায় ৮ উইকেট।

মিরাজ আউট হলে আউট হন তাসকিন আহমেদও । তাকে আউট করেন আশ্বিন। তাসকিনকে আউট করে তিনি তুলে নেন নিজের ৬ষ্ট উইকেট। তাসকিনের বিদায়ের পর ২৩৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। আর প্রথম টেস্টে ২৮০ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় ভারত।

জেপি/নি-২২/প