লেবাননে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এত করে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪৫০জন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। খবর বিবিসি।

জানা গেছে, দেশটির দক্ষিণ লেবাননের সিদন শহরে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে একটি ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এর টিক ঘণ্টাখানেক পর বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে।

লেবানিজ রেডক্রসকে বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, লেবাননের একাধিক স্থানে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর জাতি সংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকা হয়।

বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থান থাকা দাহিয়া এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগের যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লেবাননে কয়েক হাজার পেজারে বিস্ফোরণের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত

১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয়ে পরবর্তী প্রায় ১ ঘণ্টা সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য, মেডিকেল কর্মী এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবনন জুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে।

হিজবুল্লাহ  এই বিস্ফোরণের সব দায় দিয়ে ইসরায়েলকে। এতে আমাদের ৮ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েল এর ন্যায্য শাস্তি পাবে।

জেপি/নি-১৯/প