এর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলছে সংঘাত। এরই জেড়ে রাজ্যের পাঁচ উপত্যকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। তিন দিন  বন্ধ থাকার পর অবশেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। তবে মোবাইল ডাটা এখনও বন্ধ আছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে এনই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির রাজধানী ইম্ফলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতাদেশের তিনদিন পর মনিপুর সরকার পাঁচটি উপত্যকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পরিসভা আবারো চালু করেছে। তবে এখনও মোবাইল ডাটা ব্যবহারের উপর নিচে থাকা বহাল রয়েছে।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌরসভা চালু হওয়া পাঁচটি জেলা হচ্ছে, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব,  থৌবল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং। মূলত পাঁচ দিনের জন্য নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞাটি এখন আংশিকভাবে শিথিল করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উপত্যকায় বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্যকারী কুকি উপজাতিদের মধ্যে উত্তেজনা গত কয়েক মাস ধরে বেড়েছে। যার ফলে তাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষও হয়েছে। গত ১৬ মাস ধরে চলমান এই সংঘাতের কারণে ২২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মণিপুরে চলমান জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা- সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কয়েকদিন পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সহিংসতায় বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে সিআরপিএফের ২ হাজার সদস্যের দুটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এছাড়া ভারতীয় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপিএফের নতুন এই দুটি ইউনিটের সব কোম্পানিকে মণিপুরের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটে পাঁচ থেকে ছয়টি কোম্পানি রয়েছে। দুটি ব্যাটালিয়নে সিআরপিএফের প্রায় ২ হাজার জওয়ান ও কর্মকর্তা রয়েছেন।

 জেপি/নি-১৩/প