২০২৬ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে একই রাতে হেরেছে ফুটবল বিশ্বের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। প্রথমে ব্রাজিল হেরেছে ১-০ গোলে প্যারাগুয়ের কাছে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে হেরেছে কলম্বিয়ার কাছে।
ম্যাচটির শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছিল ব্রাজিল। কিন্তু দলটির ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের মুখ দেখা। উল্টো ইন্টার মায়ামির উইঙ্গার ডিয়েগো গোমেজের গোলে ম্যাচের ২০ মিনিটেই লিড পেয়ে যায় প্যারাগুয়ে। ব্রাজিল রক্ষণভাগের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ দূরপাল্লার শটে লিড নেয় স্বাগতিকরা। পুরো অর্থে দাপট দেখিয়েও গোল আদায় করা হয়নি তাদের।
যদিও ৫ মিনিট পর ম্যাচে ফিরতে পারতো ব্রাজিল। রিয়ালের তরুণ তারকা এন্ট্রিকের পাস থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন গুইলার্মো অ্যারানা। প্যারাগুয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে ফেরত আসে বল। ব্রাজিলকে হতাশ করেন প্যারাগুয়ের লেফটব্যাক জুনিয়র আলোনসো। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। কোচ দোরিভাল জুনিয়র বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়েছেন মোটে ২৪ ঘণ্টা আগে। আর মাঠে গিয়ে ব্রাজিল যেন নিজেদেরই কোচকে ভুল প্রমাণ করতে ব্যস্ত ছিল।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কলম্বিয়ার দুটো গোলই এসেছে ডেডবল থেকে। প্রথমে কর্নার থেকে ওয়ান টু ওয়ান শেষ হামেস রদ্রিগেজের ক্রস। আর সেখান থেকে ইয়েরসন মোসকেরার হেডে গোল। আর দ্বিতীয়টা হামেস রদ্রিগেজের পেনাল্টি। স্পটকিক থেকে আর্জেন্টিনা ভুগেছে কোপা আমেরিকাতেও। স্কালোনি এমন দুর্বলতার কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেটা হয়ত বড় একটা চ্যালেঞ্জ আর্জেন্টিনার সামনে। নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-১ গোলের ব্যবধানে।
আর্জেন্টিনার হারের ব্যাপারটাও খুব একটা কম বিব্রতকর না। লিওনেল স্কালোনির দলের জন্য চলতি বছর এটিই প্রথম হার। শেষবার তারা হেরেছিল গেল বছরের নভেম্বরে। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার পর ৫ বছর ধরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার অপরাজিত থাকার রেকর্ডেও ছেদ পড়েছে আজ। এ হারে টানা ১২ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থামল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
জেপি/নি-১১/প