ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও এর পরবর্তী অচলাবস্থা, পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটা এবং সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাবে বাজারে উচ্চমূল্য থেকে স্বস্তি দিতে পেঁয়াজ, আলু ও কীটনাশক আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্ক ছাড় দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআর জানিয়েছে, কীটনাশকের উপর প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (রেগুলেটরি ডিউটি) ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একই সাথে আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া পেঁয়াজের ওপর যে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রযোজ্য ছিল, তাও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানিয়েছে এনবিআর। তবে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আগের মতই থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। এর সাথে দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মত গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে অনুরোধ জানায়।

এনবিআর বলছে, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় এবং আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের উপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, সেহেতু কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

এর ফলে পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলেও আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জেপি/নি-৫/এমএইচ