হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করে বাকি জীবিত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ।
রোববার রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত ১১ মাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের মধ্যে এটি অন্যতম।
মূলত গাজায় আরও ছয় জিম্মিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন।
বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ‘এখন! এখন!’ বলে স্লোগান দিতে থাকে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হামাসের সথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
এসময় তারা পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান।
গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ থামাতে এবং তাদের প্রিয়জনদের ঘরে ফিরিয়ে আনার চুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহুর ‘ব্যর্থতার ফল’ হলো এই ছয় জিম্মির মৃত্যু।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য সরকারকে চাপ দিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন হিস্টাড্রুত।
ইউনিয়ন বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। এটি বন্ধ থাকলে দেশটির ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ অর্থনীতির সব প্রধান খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জেপি/নি-২/এমএইচ