তেহরানে হত্যার শিকার হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেনে ইনানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বুধবার সকালে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
জানা গেছে, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পরপরই আয়াতুল্লাহ খামেনির উপস্থিতিতে বুধবার সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন ইনানের এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
তিনি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড এবং সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ডারদের নির্দেশ দেন ইসরায়েলে আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষার জন্য উভয়ের পরিকল্পনা তৈরি করতে। এমনকি সেই সাথে তিনি আশঙ্কা করেন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলা চালাতে পারে।
ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর খামেনি প্রকাশ্য বিবৃতিতে বলেন, ইরান এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবে। কারণ এ হত্যাকাণ্ডটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে ঘটেছে। ‘ইসরায়েল’ কঠোর শাস্তি পেতে এ মঞ্চ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইরানের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। তিনি এবং তার সঙ্গীরা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলা হলে হানিয়া এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হন।
আইআরজিসি বলছে, সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, গত জুনে ইসমাইল হানিয়ার পারিবারিক বাসস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সেই হামলায় তার বোনসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন।
তারও আগে, গত এপ্রিলে রোজার ঈদের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে এবং বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহন হন।
জেপি/নি-১/প