ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে আজ মধ্যরাতে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে। আবহাওয়া অফিস বলছে-রেমাল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় আইলার মতো বিধ্বংসী। যা দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছিল ২০০৯ সালে। রেমালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।
এবার চলুন জেনে নেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়:
- সব সময় নজর রাখুন সতর্কবার্তার দিকে। ঘূর্ণিঝড়ের খবরটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
- কোনো ধরনের গুজব ছড়াবেন না। এমন অবস্থায় আতঙ্কে মানুষ আরও দিশেহারা বোধ করতে পারে।
- দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক আবহাওয়ার বার্তার দিকে খেয়াল রাখুন।
- ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার মানে হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদের ভয় আছে। তাই পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকুন।
- সমুদ্র উপকূলের নিম্নাঞ্চল কিংবা উপকূলের কাছে অন্যান্য নিম্নাঞ্চল থেকে দূরে থাকুন।
- উঁচু স্থান বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার পথ প্লাবিত হওয়ার আগেই নিরাপদে পৌঁছান।
- আপনার বাড়ি যদি উঁচু স্থানে নিরাপদভাবে নির্মাণ করা হয়, তাহলে সেখানকার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
- জানালা কাঁচের হলে তা হার্ড বোর্ড দিয়ে ঢেকে রাখুন। ঘরের বাইরের দিকের দরজার ক্ষতি এড়াতেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।
- রান্না ছাড়া খাওয়া এমন খাবার সংরক্ষণ করুন। ঢাকনাওয়ালা পাত্রে অতিরিক্ত পানযোগ্য পানি সংরক্ষণ করুন।
বাড়ি ছাড়ার নির্দেশনা পেলে যা করবেন:
- কয়েক দিনের জন্য পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিন। ওষুধ, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ খাবার সঙ্গে রাখুন।
- নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হন। সম্পত্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।
- আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- ছেড়ে না যেতে বলার আগ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকুন।
ঝড় থেমে যাওয়ার পর করণীয়:
- বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।
- বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার ছড়িয়ে পড়লে তা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে চলুন।
- গাড়ি চালাতে হলে সতর্কতার সঙ্গে চালাবেন।
- বাড়ির আঙিনা থেকে বর্জ্য পদার্থ দ্রুত পরিষ্কার করুন।
- ঝড়ে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান
জেপি/নি-২৬/প