ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষীণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা।

একইসাথে হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মি ইসরায়েলিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন এই মন্ত্রীসভা।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার কার্যক্রমের মধ্যেই রাফায় অভিযান স্থগিতের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিল বাদিপক্ষ। সেই আবেদনের জবাবে শুক্রবার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন আদালত।

জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই রায়কে ‘ভুয়া, ভয়ানক এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থী’ বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘প্রত্যেক দেশেরই আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণের ভিত্তিতে নিজেদের নাগরিক ও সীমানা রক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইসরায়েল ঠিক তা ই করছে।’

শুক্রবার আদালতের রায়ের পর ইসরায়েলের ফার্স্ট প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড বেন গুরিয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছেন, ‘ইহুদিদের ভবিষ্যত ইহুদিদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে। অ-ইহুদিদের সিদ্ধান্তের ওপর নয়।’

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান অভিযানে গত সাত মাসে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

রাফা শহরটির অবস্থান মিসর-গাজা সীমান্তে। ইসরায়েলি অভিযানের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে প্রাণ বাঁচাতে গত কয়েক মাসে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাফায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি। গত এপ্রিলে প্রথম রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

জেপি/নি-২৫/এমএইচ