ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিহত হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে জিহাদ হাওলাদার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সিআইডি। ভারতের সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলেছে গ্রেফতারকৃত জিহাদ পেশায় একজন কসাই। তিনি অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন।

জিহাদকে হাওয়াদারকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তদন্তকারীরা হেফাজতে নেওয়া কথা ভাবছে। যদিও এমপি অনারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলেও তার মরদেহ উদ্ধার করা যায় নি।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলেছে, গত ১২ মে ভারতে যান এমপি আনার। তার যাওয়া অন্তত ১০ দিন আগেই কলকাতায় অবস্থায় করছিল অভিযুক্তরা। ছিলেন ধর্মতলার কাছে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের তথ্য অনুযায়ী , ২ মে থেকে সেখানে থাকছিলেন ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর নামে দুই ব্যক্তি। পরে মুস্তাফিজুরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধরনা করা হচ্ছে, আনার হত্যার পরিকল্পনা অনেক পুরোনো। আর সেজন্য অনেকদিন আগেই কলকাতায় যান ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর। কাজ হয়ে গেলে হোটেলে ছেড়ে দেন তারা।

এমপি আনারকে কীভাবে ভারতে খুন করা হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কোন কৌশলে তাকে ভারতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং কীভাবে লাশ গুম করা হয়েছে এখন সেসব তথ্য বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এরমধ্যে ভারতের কলকাতাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে এমপি আনারকে হানি ট্র্যাপে ফেলে অর্থাৎ তরুণীর মাধ্যমে লোভ দেখিয়ে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। তার ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন হত্যার পুরো পরিকল্পনা সাজান। আর এ কাজে তিনি ব্যবহার করেন শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণীকে। যার প্রকৃত নাম সিনথিয়া রহমান।

জেপি/নি-২৪/প