হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুন । টন প্রতি বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা । ভারত থেকে আমদানিকৃত নাসিক জাতের পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ৪৫ টাকা। আবার কিছু পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার ওপরে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) হিলির পেঁয়াজের আড়তে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তের ঘরের মেঝেতে আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। পাইকাররা বলছেন, প্রতি টনে পেঁয়াজের দাম ১০ হাজার টাকা । আরেক পাইকার ইয়াসিন আলী বলেন, গত ৭ দিন আগে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। দুই দিন আগেও কিনেছিলাম ৩৫ টাকা। অথচ আজকে সে পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ৪০ টাকার ওপরে। পেঁয়াজটা কীভাবে নেব।
বগুড়া থেকে হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আব্দুস ছবুর জানান, হিলি থেকে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। আজকেও আসছি পেঁয়াজ নেয়ার জন্য। পেঁয়াজের যে ঊর্ধ্বমুখী দাম কীভাবে নেব ভেবে পাচ্ছিনা।
আরেকজন জানান, কখনো বাড়ে, কখনো-কমে। এভাবেই চলছে দেশের পেঁয়াজের বাজার। গত ৭ দিন আগেও হিলি বন্দরে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কয়েকদিন থেকে আবারও ঊর্ধ্বমুখী এই কাঁচা পণ্যের দাম। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের মত ছোট পাইকারদের।
পেঁয়াজের দাম এভাবে বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, হিলি স্থলবন্দরে ভারতের মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হিলি থেকে দূরত্ব প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটারের ওপরে। আসতে সময় লাগে ৪-৫ দিন। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত বন্যার কারণে সেদেশের কৃষকরা জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতে পারছে না। যে কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এজন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। হিলি বন্দরের তথ্য মতে, ১ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৮ কর্ম দিবসে ভারতীয় ৩৪৭ ট্রাকে ১০ হাজার ২৭৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জেপি/নি-১১/এসএম