আগামী রোববার থেকেই ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ডধারীরা নিয়মিত পণ্যের পাশাপাশি পাঁচ কেজি করে ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেলস) চাল পাবেন।
বর্তমানে এক কোটি কার্ডধারীকে প্রতি মাসে অন্তত একবার বিভিন্ন পণ্য দিচ্ছে টিসিবি। এর মধ্যে একজন ক্রেতা দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে ডাল ও এক কেজি চিনি পাচ্ছেন। এখন চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলে একজন ক্রেতা এসব পণ্যের পাশাপাশি চালও কিনতে পারবেন।
খাদ্য অধিদপ্তর ও টিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে টিসিবি খাদ্য অধিদপ্তরকে একটি চিঠি দিয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, টিসিবির পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের চাল বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা ১৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
এ চিঠি সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৬ জুলাই) থেকেই প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির চিনি, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেলের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তররের চালও বিক্রি শুরু হচ্ছে।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির সাংবাদিকদের বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর টিসিবির ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী চাল দেবে। ডিলাররা সেসব চাল তাদের বিক্রয়কেন্দ্রে নিয়ে কার্ডধারীদের বিক্রি করবেন। জুলাইয়ের বরাদ্দের সঙ্গে এ চাল যুক্ত হচ্ছে, যা রোববার শুরু হচ্ছে।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য টিসিবির পণ্যের সঙ্গে চাল দেওয়ার কথা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, টিসিবি কর্তৃক পণ্যের বরাদ্দপত্র তৈরি করে সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি অফিস, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। টিসিবির ডিলাররা বরাদ্দপত্র মোতাবেক ব্যাংকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমাদান পূর্বক ডিসি অফিসের গুদাম বা টিসিবির গুদাম হতে বরাদ্দকৃত পণ্য নিয়ে তাদের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রে বা দোকানে বিক্রি করবে। টিসিবির ডিলারা সব পণ্য সমন্বয় করে সরকার নির্ধারিত সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করবেন এবং নির্ধারিত হারে কমিশনপ্রাপ্ত হবেন।
অর্থাৎ এখন থেকে টিসিবির পণ্যের সঙ্গে প্রতি মাসে প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পাঁচ কেজি করে চাল পাবেন। যার মূল্য হবে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। কার্ডধারীরা এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে চালসহ অন্যান্য পণ্য নিতে পারবেন।
খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এদিকে ভোক্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতিতে সংসারের খরচের চাপ কমাতে টিসিবির চালে কিছুটা স্বস্তি পাবে মানুষ। কারণ ঢাকার বাজারে এখন মোটা চালের দামও কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় উঠেছে। যা পূর্বের যেকোনো সময়ের থেকে সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জাগো নিউজকে বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চাল দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষ সুফল পাবে। তবে গরিবদের টিসিবির কার্ডধারী বানাতে হবে। এক্ষেত্রে আবার কিছু সমস্যার কথা আমরা শুনেছি। এখনো অধিকাংশ গরিব মানুষ কার্ড পায়নি।
জেপি/নি-১৩ /শরিফুল