জেপি নিউজ ২৪ ডটকমঃ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।ঘটনার পর শ্বশুড় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান স্বামী রাজু বয়াতি(৩০)।

নিহতের নাম মুক্তা আক্তার(২২)।তিনি এক সন্তানের জননী।

রোববার(১২ মার্চ)দুপুরে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পুর্বভাকুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত মুক্তার বড় বোন সুচরিতা আক্তার  জানান, তারা দুই বোন। তাদের কোনো ভাই নেই, বাবাও মারা গেছেন। ৬ বছর আগে মুক্তার সাথে একই উপজেলার  ধল্লা চরউলাইল গ্রামে পলাশ মিয়ার ছেলে রাজু বয়াতির বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রিসান নামে ৫ বছরের একটি ছেলে আছে।

বিয়ের  পর থেকে তার বোন স্বামী রাজুকে গাজীর গান গাইতে মানা করে আসছিলো। এছাড়া রাজুর বিরুদ্ধে গোপনে একটি বিয়ে ও অন্য নারীদের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক থাকায় তার বোনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

গত তিন দিন আগে তার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। শনিবার(১১ মার্চ) রাতে বাবার বাড়িতে এসে রাজু  জোর করে মুক্তাকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে যেতে যায়। এসময় র‌্যাবের একটি টহল টিম তা দেখে বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলেন।

রোববার(১২ মার্চ) সকালে তার মা রাজুকে জানানা মুক্তাকে নিয়ে যেতে চাইলে তোমার পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে আসতে হবে।

দুপুর ২ টার দিকে তার মা গোসল করার জন্য বাড়ির বাইরে যায়।  এসময় রাজু তার বোনকে ঘরে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে ও  ধারালো  ছোড়া দিয়ে বুকে, পেটে আঘাত করে মোটরসাইলে নিয়ে পালিয়ে যায়।  

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মুক্তাকে মৃত ঘোষনা করেন।


সিংগাইর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক লিবাস চক্রবর্তী জানান, হাসপাতাল থেকে বিকেল ৫টার দিকে তাদের জানানো হয় একটি মরদেহ আছে।পরে গিয়ে এই খুনের ঘটনা জানতে পারি।সুরতহাল করার সময় দেখা গেছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

সন্ধ্যার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মুক্তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।