জেপি নিউজ ২৪ ডটকম:
ছদ্মবেশ ধরেও শেষ রক্ষা হলো না সুরুজ মিয়ার। যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ মাথায় নিয়ে পালিয়ে ছিলেন ৫ বছর।কিন্তু কথায় আছে 'পাপ ছাড়ে না বাপরে'। তাই শেষ পর্যন্ত র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ে চাঞ্চল্যকর মো.টুটুল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সুরুজ মিয়া।
র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো.আরিফ হোসেন বুধবার(২২ফেব্রুয়ারি)দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের একটি দল ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
দন্ডপ্রাপ্ত ২৪ বছর বয়সি সুরুজ মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা এলাকায়। তিনি রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
র্যাব জানায়, পুরাতন বাইসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের জেরে ২০১৪ সালের ২৩ মে বিকেলে শিবালয়ের তেওতা এলাকার মো.টুটুল মিয়াকে আসামী সুরুজ মিয়া ও সুজন মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তেওতা জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত অন্ধ কুপে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ৩০শে মে বিকেলে তেওতা জমিদার বাড়ির কুপ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা টুটুলের মরদেহটি সনাক্ত করে।
এরপর ২০১৪ সালের ১লা জুন নিহতের পিতা আরমান আলী বাদি হয়ে সুরুজ মিয়া, সুজন মিয়া, লিটন মিয়া, মোক্তার হোসেন, রাজু আহমেদ ও আবুতালেবসহ প্রায় ১০জনকে আসামী শিবালয় থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ আসামী সুরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করলে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ২০১৪ সালের শেষের দিকে ওই আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শিট দালিখ করে। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের শেষের দিকে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক আসামী সুরুজ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এসময় আসামি সুরুজ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট মো.আরিফ হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের পর সুরুজ মিয়া ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। মামলার গ্রেফতার এড়াতে কখন দিনমজুর, কাঠমিস্ত্রি আবার কখন গার্মেন্টেসে কাজ করেছেন।
এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকা থেকে রায়ের ৫ বছর পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে শিবালয় থানায় হস্তান্তর করা হবে।