জেপি নিউজ,লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটে পৃথক তিনটি মামলায় দুই জঙ্গি সদস্যের প্রত্যেককে ১৪ বছর করে মোট ৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে চারজনকে। রোববার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও নাহিদ হোসেন এর উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষনা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(১) ঈ ৬(২) ধারায় ১৪ বছর দুই হাজার টাকা, ২০০৯, সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১০ ধারায় ১৪ বছর দুই হাজার টাকা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৩ ধারায় ১৪ বছর দুই হাজার টাকা করে মোট তিন মামলায় দুইজনকে ৪২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ এ আদালত। রায়ে আরো উল্লেখ করেন যে, ২০১৭ সালের ২৯ আগষ্ট লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান তার সঙ্গীয়সহ হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা রাকিবের পিতা কোরবান আলীর বাড়িতে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনে গোপন বৈঠক চলাকালে রাকিবকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল, জিহাদী বইসহ রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের অসংখ্য তথ্য সম্বলিত বই এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার প্রমানসহ তাকে আটক করে। রায়ে আরো উল্লেখ করেন রাকিব ইসলামি ছাত্র শিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য। পরবর্তীতে নব প্রভাতের মুয়াজ্জিন মেহেদী হাসান মিশান, হাসানুল বান্না, জামাল উদ্দীন, নাহিদ হাসান ও মোঃ মেহেদী কে আটক করে তাদের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ। রায়ে আরো বলা হয় যে রাষ্ট্রপক্ষ ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামীগণের বিরুদ্ধে ১৭ জন শাক্ষির বক্তব্য রেকর্ড করেন আদালতে। তাতেই মূলত প্রমানিত হয় আসামীরা নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোর সক্রিয় সদস্য। এদিকে রায়ে আরো উল্লেখ করেন যে, আসামী মোঃ মেহেদী হাসান মিশান, হাসানুল বান্না (পলাতক), জামাল উদ্দীন ও মোঃ মেহেদীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬(১) ক এর ঈ, ৬(১) (খ), ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় রাষ্ট্র পক্ষ প্রমান করতে না পারায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) মোঃ আকমল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অপরাধে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান আসামি গনের উপস্থিতিতে ২০০৯ সন্ত্রাস বিরোধী আইনের তিনটি মামলায় পৃথক পৃথক ভাবে দুই আসামীর প্রত্যেককে ১৪ বছর করে মোট ৪২ বছর সাজা দিয়েছেন। আর চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
তবে সাজাপ্রাপ্তদের তিনটি মামলার সাজা একই সাথে শুরু হবে বলে তিনি আরো জানান। তিনি আরো বলেন আমরা এ মামলাগুলো খুব তারাতারি শেষ করতে চাই। আর মাত্র দুইটি মামলা রয়েছে সেগুলোও আমরা অতি দ্রুত শেষ করব।
জেপি/নি-১৩/লা/ডেস্ক