জেপি নিউজ ২৪ ডটকমঃ

এবছর ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।আগামীকাল সোমবার(২০) সারাদেশে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কাম্পেইনে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেনে এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্যাম্পেইনের আওতায় -১১ মাস বয়সের ১৫ লাখ শিশু এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে

নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল .১০ শতাংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিনক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিনক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিনএর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে

তিনি জানান, জাতীয় ভিটামিনপ্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা পৌরসভা পর্যায়ে অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন পৌরসভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিকস প্রেরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে জেলা, সিটি কর্পোরেশন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ভিটামিনক্যাপসুল

মন্ত্রী জানান, লাল রঙের ক্যাসপুল আছে লাখ আইইউ, যার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২৪ সালের জুন। আর নীল রঙের ক্যাপসুল আছে লাখ আইইউ, যার মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ক্যাম্পেইনের আওতায় কেন্দ্র সংখ্যা প্রায় লাখ ২০ হাজার। স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় লাখ ৪০ হাজার। আর স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিনক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভিতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিনক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। মাসের কম বয়সী এবং বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিনক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না

জেপি/নি/১২/রিপোঃ