প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি আবার ফিরে আসতে এদেশের হাজার বছরের সম্প্রীতির বন্ধন বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে হাত মিলিয়েছে আমাদের প্রতিবেশী আরেকটি দেশ। তাদের এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কাজ করেছে। এরমধ্যে সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করেছে। আমাদের সমাজে যদি আরও চিন্ময় থাকে তাদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি পরিষদ (আসপ) আয়োজিত সম্প্রীতির বন্ধন শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জামিলুন্নেছা বলেন, ‘আমরা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মানুষ হিসাবে এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছি। এদেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে এই দেশকে গড়ব। কোন অপশক্তির ষড়যন্ত্রে সম্প্রতি বিনষ্ট করে দেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবু সায়েম সরকারে প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশের হাজার বছরের সম্প্রতি বিনষ্ট করতে চায় তবে তাদের কঠিনভাবে দমন করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের চোখ রাঙানিতে পিছপা হওয়া যাবে না।’
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ঠু বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তিরা থেমে নেই। তাদের কাজ সব সময় ষড়যন্ত্রের সাথে বসবাস করা। তারা দেশের ২ সহস্রাধিক মানুষ খুন করেছে। শত শত মানুষ গুম করেছে। তারা আবার ফিরে আসতে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করছে। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সুকুমল বড়ুয়া বলেন, ‘এই দেশে হাজার বছরের যে সম্প্রতি চলছে সেটি বিনষ্ট হবে না। এটা আমাদের দেশ আমরা এ দেশেই থাকব। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই এদেশে থাকব। যারা দেশের পরাজিত শক্তি তারা পালিয়ে গেছে। এই অশুভ শক্তি এখন দেশের ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। এটা হতে দেয়া যাবে না। আমরাই এদেশে থাকব। আওয়ামী পতিত সরকারের অপপ্রয়াস এদেশের মাটিতে আর টিকবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম এ মজিদ বলেন, ‘৫২ বছরের ইতিহাসে আমাদের প্রতিবেশী দেশ কখনও আমাদের ভালো করেছে বলে মনে হয় না। যখনই দেশে স্থিতিশীলতা আসে এগিয়ে যাই তখনই ষড়যন্ত্র করে আমাদের থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা কারও প্ররোচনা আর ষড়যন্ত্রে পা দিবো না। স্বাধীনতার চেতনা আর সম্প্রীতির বন্ধনে আরও এগিয়ে যাবো। আর এই সম্প্রীতির বন্ধনে বিভেদ সৃষ্টি করতে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের এই দেশে জায়গা হবে না।’
এ সময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ–ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু, জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় কুন্ডু, পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসু, পূজা উদযাপন কমিটির দপ্তর সম্পাদক গোবিন্দ কুন্ডু, গিওর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (অব) জীবন কুমার সাহা প্রমুখ।
জেপি/নি-৩০/এমএইচ