ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে ম্যাচটিতে আলো ছিল কিলিয়ান এমাবাপ্পের দিকে। সেই সাথে সমান আলো ছিল স্পেনের লামিন ইয়ামালের দিকে। তবে শেষ পর্যন্ত আলো কারতে আলো কারতে ব্যর্থ হয়েছেন এমাবাপ্পে। তবে কামাল করে দেখিয়েছেন ইয়ামাল, করেছেন গোলও। যার ফলে এমাবাপ্পেদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে প্রবশে করেছ স্পেন।
ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটের মাথায় লিড নেয় রাশিয়া বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে রান্দাল কোলো মুয়ানির দারুণ হেডে লিড গোল করে ম্যাচে লিড নেয় তারা। কিন্তু তাদের এই লিড বেশি সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২১ মিনিটে গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরান ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার লামিন ইয়ামাল। স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার পাসে গোলটা হলেও পুরো কৃতিত্ব ইয়ামালের। বাঁ পায়ের মাপা এক দুর্দান্ত শটে ফ্রান্সের জালে বল পাঠান তিনি।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে স্পেনকে লিড এনে দেন দানি অলমো। জেসুস নাভাসের ক্রস গোলমুখ থেকে হেড করে ফিরিয়ে দেয় ফ্রান্স। বক্সে দারুণ বল নিয়ন্ত্রণে নেন আরবি লাইপজিগে খোলা প্লে মেকার অলমো। শূন্যে থাকা বল ঘুরিয়ে জোরের ওপর শট নিয়ে জালে পাঠান তিনি। ২-১ গোল লিড পায় স্পেন। শেষ হয় প্রথমার্ধ।
পরের সময়টা গোল করার অনেক চেষ্টা করে ফ্রান্স। জ্বলে উঠতে পারেনি এমবাপ্পেও। সুযোগও পেয়েছিল তারা তবে তেমন জোরালো ছিল না। অবশ্য স্পেনের তুলনায় আক্রমণের সংখ্যা বেশি ছিল ফ্রান্সের। অবশেষে শেষ হয় নির্ধারিত সময় কোনো দলই দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের দেখা পায় না। আর তাতেই ফ্রান্সকে ২-১ ব্যবধানে বিদায় করে ইউরোর ফাইনালে প্রবেশ করে স্পেন।
জেপি/নি-১০/প