পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্ধু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নারী শিশুসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর কুর্রাম জেলার ওচত এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে হামলাকারীরা হামলা চালায়। এতে করে নারী পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলা হয়। নিহত ছাড়াও একাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী জানান, হঠাৎ গুলি শুরু হলে তিনি বুদ্ধি করে তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত তাদের প্রাণে বাঁচায়। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি বের হয়ে থ হয়ে যান। রাস্তায় ও গাড়ির ভেতন আহত ও নিহত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, হামলাটি একটি বড় ট্র্যাজেডি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে আশঙ্কাজনক।
অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ জানান, হামলায় প্রায় ১০ জন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তারা রাস্তার দুই পাশ থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। হামলার পর পুলিশ এবং স্থানীয়রা নারীদের কাছাকাছি বাড়িগুলোতে আশ্রয় নিতে সহায়তা করে। হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে খুররাম এলাকায় শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি হয়েছে। গত মাসেও এই অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বহরে হামলায় ১৫ জন নিহত হন।
জেপি/নি-২২/প