অলিখিত কোয়ার্টার ফাইলান বলেও যেন ভুল বলা হবে না। কারণ দুই দলের জন্যেই সমীকরণ ছিল একটি। সেমি ফাইনালে যেতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। আর সেই রুদ্ধ শ্বাস ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৪ জুন) গ্রুপ-টুর শেষ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৩ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।

ফলে বিশ্বকাপের দুই আয়োজক আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দুই দলই বিদায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের অন্যতম নায়ক তাবরেজ শামসি। তার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে প্রথমে ব্যাট করেও সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি স্পিনার একাই ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগাম টানেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য বোলাররাও চাপে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। দু'জন ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ব্যাটারই চেনা ২২ গজে রান পেলেন না গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।

ওপেনার কাইল মায়ার্স করলেন ৩৪ বলে ৩৫। মারলেন ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। চার নম্বরে নেমে রোস্টন চেজ খেললেন ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তার ইনিংসেও ৩টি চার এবং ২টি ছয়। বাকিদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল (৯ বলে ১৫) কিছুটা চেষ্টা করেন। আর কেউই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না।

শামসি ৩ উইকেট নিলেন ২৭ রান দিয়ে। ১১ রানে ১ উইকেট কাগিসো রাবাদার। ১৭ রানে ১ উইকেট মার্কো জানসেনের। কেশব মহারাজ ১ উইকেট নিলেন ২৪ রান খরচ করে। ২৮ রানে ১ উইকেট অধিনায়ক মার্করামের।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১৫ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর হানা দেয় বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নেমে আসে ১৭ ওভারে। ১২৩ রান তাড়া করতে নেমে মার্করাম-স্টাবস জুটি বেশ অনায়াসেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ৪২ রানে অধিনায়ক এইডেন মার্করামকেও হারায় দলটি। এরপর উইকেটে নেমে স্টাবস ও ক্লাসেন ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন। ১৬ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে ম্যাচে ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপর ডেভিড মিলারকে বোল্ড করে দেওয়ার পর স্টাবসকেও তুলে নেন চেজ। এরপর মহারাজকেও বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু তার লড়াই যথেষ্ট হয়নি। এক প্রান্ত আগলে রাখেন জানসেন। তার ব্যাটেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন স্টাবস। ২৭ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন ক্লাসেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তার ইনিংসে। শেষ দিকে ১৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন। এছাড়া মার্করাম ১৮ রান করেন।

জেপি/নি-২৪/প