ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে কত বড় ভুল ছিল তা হারে হারেই টের পেয়েছে আফগানি। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্টেন্ডিজ সংগ্রহ করে ২১৮ রান।জবাবে ১১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। ১০৪ রানের বিশাল জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে দুই দলই যেহেতু আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে তাই এই ম্যাচ হারা জেতায় কারোই তেমন প্রভাব পড়বে না।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও দ্বিতীয় ওভারে গিয়েই ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬ বলে ৭ রান করে তিনি হয়ে যান বোল্ড। এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান।
আফগানিস্তানের দুঃস্বপ্নের শুরুও হয় ওখানেই। ফজল হক ফারুকীর তৃতীয় ওভারে ১৫ রান এনে দেন জনসন চার্লস। পুরান আজমতউল্লাহ করার পরের ওভারে নেন ৩৬ রান!। স
অষ্টম ওভারে গিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নেয় আফগানিস্তান। এবার ২৭ বলে ৪৩ রান করা চার্লসের ক্যাচ নেন গুলবাদিন নাইব। নাবিন উল হকের বলে আউট হন তিনি। মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে।
গুলবাদিন নাইবের ওভারে ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন শাই হোপ। শেষদিকে গিয়ে ফের ঝড় অেলেন পুরান। রশিদ খানের করা ১৮তম ওভার থেকে ২৪ রান নেন তিনি। নাদিনের করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম তিনটির দুটিতে ছড়া হাঁকান।
পৌঁছে যান ৯৮ রানে। কিন্তু রান আউট হয়ে আর সেঞ্চুরি পূর্ণ করা হয়নি তার। ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৯৮ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরও পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় রান এটি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। দলটির পক্ষে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ইবরাহিম জাদরান। ১৯ বলে ২৩ রান আসে আজমতউল্লাহ্ ওমরজাইয়ের ব্যাটে। এর বাইরে দুজন ব্যাটারই নিজেদের রান নিয়ে যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে।
৯ বলে করিম জানাত ১৪ ও রশিদ খান ১১ বলে ১৯ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ওভেদ ম্যাককয়। দুটি করে উইকেট পান আকিল হোসেন ও গুদাকেশ মোতি। পর্যায়ক্রমে উইকেট হারাতে হারাতে আফগানদের ইসিংস গিয়ে থামে ১১৪ রান। আর তাতেই ১০৪ রানের বিশাল জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জেপি/নি-১৮/প