ঈদের দিন ভোর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতে তালিয়ে গেছে সিলেট শহরসহ জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ ও সড়ক। সেই সাথে পাহাড়ি ঢলে সুমরা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিদপ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পাসি বন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬ লাখের বেশি মানুষ।
সোমবার (১৭ জুন) দেশের বিভিন্ন জেলার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এদিন সিলেটে ভোর ৪ টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ। যা চলে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা।
ভারী বৃষ্টিপাতে ফলে তলিয়ে গেছে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক। পানি ঢুকে পড়েছে অনেকে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বৃষ্টির পানিতে ঈদগাহ ও মসজিদ ভেসে যাওয়া অসেকে আদায় করতে পারেনি নামাজ। কোরবানি নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বন্যা আক্রান্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৪৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলায় ১০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের। একইভাবে নগরীর অন্য অন্য স্থানেও নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।
জেপি/নি-১৭/প