নেপালের বিপক্ষে জিততে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে শেষ মুহূর্তে তীরে এসেই তরি ডোবালো নেপাল। জয় পেলো মাত্র ১ রানে।
বিশ্বকাপে নেপাল-দ. আফ্রিকার ম্যাচটি হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়। কারণ দ.অফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তি কেও নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে আইসিসির এই সহযোগী দেশের কাছে।
সেন্ট ভিনসেস্টের কিংসটাউনে অ্যারোনেস ভেল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১১৫ রানের জবাব দিতে নেমে নেপাল করে ১১৪ রান। মাত্র ১ রানের জন্য হলো তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সেন্ট ভিনসেন্টের পিচে দীপেন্দ্রসিং আইরে এবং কুশাল ভুর্তেলের বোলিং তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস আভাস দিয়েছিলেন বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর। কিন্তু দীপেন্দ্রর তিন আর ভুর্তেলের চার উইকেটের সুবাদে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবস ১৮ বলে ২৭ রান করে স্কোরবোর্ডে নিয়ে আসেন ১১৫ রান। লো-স্কোরিং ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মান বাঁচাতে সেটিই হয়ে যায় যথেষ্ট।
১১৬ রানের জবাবে শুরুটা ভালো নেপাল। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩২ রান করে হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশটি । উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৭ রান তুলে নেন কুশাল ভুরতেল ও আসিফ শেষ। ১৩ রান করা কুশাল আউট হতেই ব্যাটিং ধস নামে নেপালের ইনিংসে। বিদায় নেন অনিল শাহ (২৭) ও দীপেন্দ্রিসিং আইরে। বিশেষ করে অনিল শাহ বিদায় নিতেই ধস শুরু হয় নেপালের ব্যাটিংয়ে। সহজ ম্যাচ হয়ে ওঠে কঠিন। আসিফ শেষকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউছিল না। আসিফও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে একই পথ ধরেন। ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে ওঠে নেপালের লক্ষ্যমাত্রা।
শেষ ২ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল নেপালের। ১৯ তম ওভারে প্রথম ৪ বল করে কোনো রান দেননি আনরিখ নরকিয়া। ফিরিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতকের মালিক কুশল মাল্লাকেও।। তবে শেষ ২ বলে একটি ছক্কাসহ ৮ রান নেন সোমপাল কামি। তাতে মোমেন্টাম সঙ্গে নিয়েই শেষ ওভারে যায় নেপাল।
শেষ ওভারে যখন ৮ রান দরকার, তখন প্রথম ২ বলে কোনো রান দেননি বার্টম্যান। তৃতীয় বলে সামনে এগিয়ে বাউন্ডারি মারেন গুলশান ঝা। পরের বলেও ২ রান নেন গুলশান। কিন্তু শেষ ২ বলের একটিও ব্যাটেই লাগাতে পারেননি তিনি। ব্যাটে না লাগলেও শেষ বলে দৌড়ে রান নেয়ার চেষ্টা করেছেন গুলশান এবং সোমপাল। ব্যাটিং প্রান্তে সোমপাল পৌঁছে গেলেও অন্যপ্রান্তে পৌঁছাতে পারেননি গুলশান। দুর্দান্ত থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙেন হেনরিখ ক্লাসেন। এতে ১ রানের ন্যূনতম ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জেপি/নি-১৫/প