টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ প্রায় জিতেই নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ২ বলে তখন দরকার ৬ রান। বোলিংয়ে তখন কেশব মহারাজ। তার বলেই ছক্কার জন্য হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বাউন্ডারিতে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন মার্করাম। মাহমুদউল্লাহ উইকেট যাওয়াতে ভরাডুবি হলো বাংলাদেশে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কারণ এর আগে কখনো প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টি হারাতে পারেনি টাইগাররা। গতকাল দেখা দিয়েছিল সেই সম্ভাবনা। রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে পরাজয় শিকার করে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ক্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। খুব এক লক্ষ্য তারা দিতে পারি নি বাংলাদেশকে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১১৩ রান। অবশ্য পাওয়া প্লেতেই সেই কাজটি ভালোভাবেই সেরে রেখেছিল বাংলাদেশি বোলাররা। জয়ের জন্য ১২০ বলে টাইগারদের করতে হবে ১১৪ রান।
জাবাব দিতে নেমে টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আউট হন সবার প্রথমে তিনি করেন ৯ বলে ৯ রান। এরপর পাওয়া প্লে ভোলো ভাবেই পার করেন অধিনায়ক ও লিটন দাস।
কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে লিটন বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, ১৩ বলে করেন ৯। পরের ওভারে অ্যানরিষ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। তিনি ফেরেন ৪ বলে করেন ৩ রান করে।
অধিনায়ক শান্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও আউট হয়ে যান।২৩ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
এরপর তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৫ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই বের করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ করা হৃদয়কে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়। রাবাদার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিপ্লেতে দেখা যায় আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছে।
জাকের আলি পরের দিকে রানের চাহিদা মেটাতে পারেননি। ৯ বলে ৮ করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশভ মহারাজ ২৭ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট কাগিসো রাবাদা আর এনরিখ নরকিয়ার।
এর আগে, তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ আর ডেভিড মিলার ৩৮ বল খেলে ২৯ রান না করলে হয়ত আরও খারাপ অবস্থা হতো প্রোটিয়াদের।
জেপি/নি-১১/প