আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর :
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে সাথে রংপুরে মাছের দাম বেড়েছে। তীব্র শীতের কারণে রংপুরে সব ধরনের মাছের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে মাছের দামে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে আকার ভেদে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
শীতের কুয়াশা ভেদ করে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রংপুর নগরীর সিটি বাজারে ভিড়তে শুরু করে মাছবাহী ট্রাক। আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি মাছের ট্রাক আসলেও সরবরাহ কমে যাওয়ায় বর্তমানে মাছের গাড়ি আসছে ৮ থেকে ১০টি। দেশীয় ও নদীর মাছের সরবরাহ আগের তুলনায় অনেকটাই কম। বাজারে সরেজমিনে দেখা মিলেছে রুই, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, ইলিশ, কাতল, বাটা, পাবদা ও চিংড়ি মাছের। দেখা মিললেও মাছের পরিমান খুবই কম, তাই বাজারে মাছের দাম বেশ চড়া। আর হঠাৎ মাছের বাজার চড়া হওয়ায় নাভিশ্বাস অবস্থা ক্রেতাদের। এদিকে হাতে গোনা দু-একটি দোকানে দেখা গেছে ইলিশ। যা কেজি আকারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা দাবি করে বলছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। আর শীতের তীব্রতা কেটে গেলে আগামী সপ্তাহে বাজার আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা। শীতের কারণে পুকুর ও নদী থেকে প্রত্যাশিত মাছও ধরা পড়ছে না। খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় দেশী মাছও কমেছে।
সিটি বাজারের সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, তীব্র শীতের কারণে রংপুরে সব ধরনের মাছের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে মাছের দামে। শীতের তীব্রতা কেটে গেলে আগামী সপ্তাহে বাজার আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। বর্তমানে প্রতিটি মাছ কেজি প্রতি ১০০ হতে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রংপুর বিভাগের বৃহৎ পাইকারি সিটি বাজারে আগে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকায়।
রংপুর পাইকারি বাজারে মাছের দাম বর্তমানে- ইলিশ- আকার ভেদে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, বাটা- ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া- ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিং- ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই-৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি- ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা-৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, গছি- ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা যা আগের চেয়ে ১০০-১৫০ টাকা বেশী।
জেপি/নি-২৮/প