শরিফুল গণি উসমানি, গবি:

ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গবির একাডেমিক ভবনের ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে শুরু হয়ে বাদামতলা মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ দ্বারের সামনে অবস্থান নেয়, যেখানে তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে।

শিক্ষার্থীরারা এ সময় ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘হাইকমিশনে/আগরতলায় হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আমরা কী চাই, আজাদি আজাদি’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত করে ৩২ একরের ক্যাম্পাস।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার মত এমন নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড ও হীন আচরণের জন্য ভারত সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জোর দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাফওয়ান তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। দেশের সার্বভৌমত্ব সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কোনো মূল্যে তা রক্ষা করা প্রয়োজন। এই দেশ আমার জন্মভূমি, এই দেশ আমার মা। সুতরাং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিবো তবুও সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দিবো না ইনশাআল্লাহ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। কেননা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিব, কিন্তু রাজা-প্রজার সম্পর্ক মানতে আমরা কোনোভাবেই প্রস্তুত না। ১৯৭১ সালের মুক্তিসংগ্রামকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশবাসী দেশকে রক্ষা করতে সর্বদা প্রস্তুত। কূটনৈতিক সম্পর্ক মেনে নেওয়া যাবে, কিন্তু দেশের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব কখনোই আপস করা হবে না।’

জেপি/নি-৪/প