বিনোদন ডেস্কঃ ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রথম অভিজ্ঞতার সময়টা খুব বেশি দিনের নয়।এর মধ্যেই নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে আলোচনায় এসেছেন অভিনেতা আলী মুরতজা পলাশ।
মাত্র ৯ মাসে তিনি অভিনয় করেছেন ১১ টি নাটকে।নাটক গুলো প্রচার হয়েছে বিভিন্ন টেলিভিশন এবং ইউটিউব চ্যানেলে।গল্প নির্ভর এসব নাটকে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় ভাসছেন পলাশ।
সাংস্কৃতির উর্বরভূমি মানিকগঞ্জের ছেলে পলাশ।ছোট বেলা থেকেই খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিকপ্রেমী ছিলেন।গান আর অভিনয় যেন তার রক্তে মিশে আছে।মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাটাও স্কুলজীবন থেকে।
‘মন যখন এমন’ নাটকের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়ান আলী মুরতজা পলাশ।নাটকটি একুশে টেলিভিশনে প্রচার হয়।এরপর একই চ্যানেলে প্রচার হয়েছে তার অভিনীত নাটক আমার স্বপ্ন তুমি ও প্রবাসীর স্বপ্ন।
দীপ্ত টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক বকুলপুরেও কাজ করছেন পলাশ।গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘আবার আসিব ফিরে’ নাটকে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হয়েছে তার অভিনিত নাটক কিল, ডাকাত বউ ও প্রেমের ফেরিওয়ালা।
মুক্তির অপেক্ষায় আছে নাটক ‘প্রেম করতে মানা’, ‘গ্যারাকলে জামাই’ এবং ‘ক্ষত হৃদয়’।এসব নাটকে আলী মুরতজা পলাশ মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।অনিমেষ আইচ, কাউসার আহমেদ ও জুয়েল রানার মতো খ্যতিমান পরিচালক এবং গুনী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানান পলাশ।
অভিনেতা মোহাম্মদ আলী মুরতজা পলাশ জানান ‘মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিলো বলেই টিভি নাটকে অভিনয়ে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।তবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে।রোদ, বৃস্টি, কাদা পানির মধ্যের কষ্ট করতে হয়।
তবে সব কষ্ট স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করেন আলী মুরতজা পলাশ।বলেন-‘সব মিলিয়ে কষ্টটাকে কষ্ট মনে হয়নি যখন দর্শক কাজগুলোকে ভালোবেসেছে।বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন ফিডব্যাগ পেয়েছি।এটাই বড় পাওয়া।
আলী মুরতজা পলাশ জেপি গ্রুপের কর্ণধার।নিজের ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি অভিনয়টাও নিয়মিত চালিয়ে যেতে চান বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি সোনার গাঁও হোটেলে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আলী মুরতজা পলাশের জয় পাগল মাল্টিমিডিয়া ও জয় পাগল স্টুডিও নামে দুটি প্রযোজনে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ ও সংগীত পরিচালক আজমীর বাবু।সুস্থধারার নাটক নির্মাণের পাশাপাশি বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠান দুটির যাত্রা শুরু হয়।#
জেপি/নি-১২/ডেস্ক/বিএম।