বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ভারতের মুর্শিদাবাদের আদালতে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে মমতাজের হাজির হওয়ার কথা ছিল। সেই দিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এর পরেই মমতাজ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেন। এতে তিনি জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না।
তবে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দেন এবং মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেছিলেন মমতাজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। এর জন্য অগ্রিম টাকাও নেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ।
এর পরেই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে আদালত।
এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগেও তিন বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
এর আগেও তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও তামিলনাড়ুর আদালতে বিচারাধীন।
জেপি/নি-৭/ডেস্ক