চিত্রনায়ক মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ’র মৃত্যুর ২৭ বছর আজ। বাংলা সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র, ক্ষণজন্মা ও কালজয়ী এ নায়ক এখনো সমানভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয়।
সালমান শাহ’র জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতার নাম নীলা চৌধুরী। তার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন।
পরিবারে সালমানের নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান ছিলেন বড়। ছোটবেলায় তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
সালমান শাহ’র অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকের মাঝে ঝড় তোলেন নায়ক সালমান শাহ।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের নায়িকা মৌসুমীর সাথে পরবর্তীতে ‘অন্তরে অন্তরে’ ও ‘দেনমোহর’ সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় সালমান শাহ। পরবর্তীতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রায় এক ডজন সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ।
এছাড়া ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ হল সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা।
১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা চলচ্চিত্রের স্বপ্নপুরুষ সালমান শাহ।
ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহ’র রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর ২৭ বছর পার হয়ে গেলেও সেই রহস্যের জট আজও খোলেনি। প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তার পরিবার সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ।
এটি অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা থাকলেও সালমান শাহের মৃত্যুর এত বছর পরও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। উল্টো দেশ ও বিদেশের নানা বিখ্যাত অভিনেতাকে এখনো তার স্টাইল ফলো করতে দেখা যায়।
একজন কালোত্তীর্ণ নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। তিনি কোনো কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা ছিল অসাধারণ। ভক্তদের চোখে তিনি সবসময় ছিলেন একজন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
জেপি/নি-৬/এমএইচ