ফিলিপাইনে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে ঝোড়ো বাতাসের বেগে যাত্রীবাহী ওই নৌকাটি ডুবে যায়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রবল বাতাসের মধ্যে রাজধানী ম্যানিলার কাছে একটি নৌকা ডুবে গেছে এবং কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাডুবিতে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কার্যত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড (পিসিজি)। রয়টার্স বলছে, ডুবে যাওয়া নৌকায় ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়, তবে দুর্যোগ কর্মকর্তা নিল ফেরার ডিজেডআরএইচ রেডিওকে বলেছেন, নৌকাডুবির পর ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও ছয়জন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চলছে। 

ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের (পিসিজি) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিখোঁজদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নারীর মতো দেখতে এক যাত্রীর মৃতদেহ টেনে আনছেন। পিসিজি বলছে, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটি ভূখণ্ড থেকে ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) দূরে ছিল এবং প্রবল বাতাস আঘাত হানার ফলে সমস্ত যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে নৌকার একপাশে চলে যায়। এর ফলে ভারসাম্য হারিয়ে নৌকাটি একপর্যায়ে বিনঙ্গোনানের কাছে পানিতে ডুবে যায়।

৭৬০০ টিরও বেশি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইনে চলতি সপ্তাহে টাইফুন ডোকসুরি আঘাত হানে। এতে দেশটিতে নিহত হন ৬ জন। ফিলিপাইনের সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ লুজন দ্বীপে এই টাইফুন আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল)।

ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে টাইফুন ডোকসুরি তাইওয়ানের দিকে চলে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটিতে কিছু ফেরি ও নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। আর এরপরই নৌকাডুবিতে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

জেপি/নি-২৮/এসএম