বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস। এতে এক চুলার বিল হবে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা, বর্তমানে যা ৯৯০ টাকা। একইসাথে দুই চুলার (ডাবল বার্নার) ১ হাজার ৫৯১ টাকা, বর্তমানে যার বিল ১ হাজার ৮০ টাকা ৷
মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা মাসে যে পরিমাণ বিল দিচ্ছেন তার চেয়ে ৩৯ থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন দাবি করে ওইসব গ্রাহকদের কাছ থেকে এ হারে বাড়তি বিল নিতে চায় তিতাস।
এ হিসাব বিবেচনায় এনে প্রি-পেইড মিটারের বাইরে থাকা ২৫ লাখ ২৫ হাজার আবাসিক গ্রাহকের মাসিক বিল বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে তিতাস।
এতে প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করে এক চুলার বিল হবে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং দুই চুলার ১ হাজার ৫৯১ টাকা। প্রস্তাবনার পক্ষে মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীরা বিইআরসি নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করেন বলে যুক্তি দিয়েছে, তিতাস।
তিতাস দাবি করেছে, মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহকরা মাসে গড়ে ৯৭ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। তিতাস বলছে ‘মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহক কর্তৃক গৃহস্থালি রান্নাবান্নার কাজ ব্যতীত পানি বিশুদ্ধকরণের উদ্দেশ্যে পানি ফুটানো এবং বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত এলাকায় কলকারখানার শ্রমিকরা ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় সাবলেট ভাড়াটিয়ারা একাধিক পরিবারের রান্নার জন্য পালাক্রমে গ্যাস ব্যবহারের কারণে গড় গ্যাস ব্যবহারের তুলনায় ওইসব এলাকায় বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়।’
তবে নিজেদের দুর্নীতি ও গ্যাস চুরি হালাল করতে তিতাস গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
তিনি বলেছেন, বিইআরসি গত আদেশে মিটারবিহীন গ্রাহকদের জন্য গড় গ্যাসের পরিমাণ ঠিক করেছে, তবে বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না। কমিশনের হিসাবে, মিটারবিহীন দুই চুলার গ্রাহকরা মাসে ৫০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। অন্যদিকে এক চুলার গ্রাহকরা ব্যবহার করেন মাসে ৪৫ ঘনমিটার। এই সীমা পরিবর্তনের যে দাবি তিতাস করেছে তা অযৌক্তিক। নিজেদের দুর্নীতি ও গ্যাস চুরি হালাল করতেই তিতাস গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়।