আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পর এবার স্ত্রীর তরফ থেকে তালাকের নোটিশ পেলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
গত ৩০ এপ্রিল তালাকের নোটিশটি পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা। নোটিশে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নোটিশের অনুলিপি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী হিসেবে আছেন কাজী তৈয়াবুর রহমান ও কাজী নাজমুস সাকিব।
নোটিশের বিষয়ে জানতে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন নোটিশের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘নোটিশটি সঠিক। সিটি করপোরেশনের আইন শাখায় এসংক্রান্ত চিঠি পৌঁছেছে।’
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, নোটিশ পাঠানোর পর সম্পর্কের উন্নতি না হলে ৯০ দিন পর চূড়ান্তভাবে তালাক কার্যকর হবে।
পুত্রবধূর দেওয়া নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরের মা জায়দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলের বউ কোথায় থাকল, মেয়ের জামাই কোথায় থাকল, এগুলো আমার দেখার বিষয় না।’
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ২০২১ সালে জাহাঙ্গীর প্রথমে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ থাকায় মেয়রের পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।
গত সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ীভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের তথ্য এক চিঠিতে জানান দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। এর পরপরই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানার তালাকের নোটিশটি ছড়িয়ে পড়ে।
জেপি নিউজ ২৪ ডটকম |