জেপি নিউজ ২৪ ডটকম: 

কম্বল বাঁচাতে  লোম উজাড় করলে তা বাস্থব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমশিনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল  আউয়াল। নির্বাচনী  আচরণ লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনা প্রসঙ্গে তিনি  এ কথা বলেন।

আজ সোমবার   জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আলোচনা সভাটা  অনেকটা সৌজন্যমূলক ও নির্বাচন বিষয়ক। তারাই মুলত সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন।

সিইসি বলেন, বহু  আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। সবকিছুই আমলে নেওয়ার মত হবে না। কারণ  লোম বাছতে গিয়ে যদি কম্বল উজাড় করে ফেলি সেটা খুব বেশি বাস্তব হবে না। আমি বলছি, দিন শেষে জনগন যেটা জানবে যে নির্বাচনটা কেমন হলো।  জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক গ্রহন যগ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন। এজন্য  আমরা বলেছি, নির্বাচন যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে ততই অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন  অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর মাধ্যমেই নির্বাচনে এক ধরনের ভারসাম্য গড়ে ওঠে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্দেশ্য অনেকটা অর্জিত হয়।

সিইসি আরো বলেন, এটাও উনারা বলেছেন, আমরাও স্বীকার করেছি যে এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা  অনেক কঠিন। আমরাও এ বিষয়ে  স্বীকার করেছি এবং জোর দিয়ে বলেছি- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে না।, এতে সংশ্লিষ্ট সবাই  অংশ গ্রহনকারী দলগুলো এবং একই সাথে সরকারের যে প্রশাসন, পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে। এতে নির্বাচন কমিশনের যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তা সীমিত হয়ে পড়তে পরবে। এটা আমরা তাদের বলেছি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে প্রতিনিধি দল খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচন যাতে শুদ্ধ হয়।

পুলিশের ভূমিকার কথা উনারা বলেছেন, পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ পুলিশ সরকারিভাবে এটা করে না। স্থানীয়ভাবে যে নির্বাচন হয়, সেখানে পুলিশকে পক্ষাশ্রিত করার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকে। সেখানে পুলিশকে কীভাবে নিউট্রোলাইজ করা যায়, সেজন্য তারা আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো এবং সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে, সেটা সরকারকেও করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পাইনি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের যে সহায়তা এখন পর্যন্ত পেয়েছি,তারা যদি একটা নিউট্রাল অবস্থানে থাকেন তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। আমাদের থেকে থেকে সরকারের ওপর চাপটা থাকবে। নেগেটিভ কোনো বিষয় যদি আমরা দেখি যে ঐকমত্য হয়েছে, তাহলে বিষয়টি দেখবো।

 

স্বচ্ছতার বিষয়ে আমি তো প্রশাসন থেকে  রেজাল্ট নেব না, মিডিয়া থেকে নেব, তাই গাজীপুরে বলে এসেছি আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে মিডিয়াকে যেন কোনো বাধা দেওয়া না হয়। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি। নির্বাচন ভালো হবে এটা আমরা দৃশ্যমান করতে চাচ্ছি।

জেপি নিউজ ২৪ ডটকম/ডেস্ক