কিংবদন্তি নায়ক ফারুকের (আকবর হোসেন পাঠান) মৃত্যুতে তাৎক্ষনিক প্রতিক্ষিয়া জানিয়েছেন নায়িকা ববিতা। এক সময় সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় জুটি ছিলেন ফারুক-ববিতা। নায়ক ফারুকের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া নিতে ববিতার সঙ্গে কথা বলেছেন জেপি নিউজ ২৪ ডটকমের প্রতিবেদক।

টেলিফোনে নেয়া সেই স্বাক্ষাতকার পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘উনার পায়ে একটা ব্লাড সার্কুলেশন সমস্যা,বেলুনিং করতে হবে।তারপরে উনি চলে আসবে। আচ্ছা তাহলে তো খুশির খবর, যাক চলে আসবে ফরুক ভাই এতোদিন পর। এখন আজকে সব শেষ হয়ে গেল সকালে। আমি এটা ইজিলি মেনে নিতে পারছি না। আমরা তো পৌছতে পারি না, ওখানে কি পজিশনে আছেন না আছেন, জানি না। একেকজন একেক কথা বলেন।

মাঝখানে একবার রটে গেল উনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তো তারপরে আবার ভাবি বলল যে, না এটা একটা গুজব, উনি ভাল আছেন। তো এইযে ব্যাপার গুলো এভাবে.. তো আজ সত্যি সত্যি সেটা হয়ে গেল। আমরা তো একসাথে অনেক ছবি করেছি। আমার প্রথম ছবি ফারুক ভাইয়ের সাথে ছিল ‘আলোর মিছিল’। ওই ছবিতে উনার রোলটা ছোট ছিল, বাট ইট ওয়াজ সুপার ডুপার। আর তারপরে তার সাথে আরো ছবি করেছি যেটা নাকি আপনার ’আবার তোরা মানুষ হ’, ‘লাঠিয়াল’, তারপরে ’নয়ন মণি’, কাজী জহির সাহেবের ‘কথা দিলাম’, এরকম অনেক ছবি। আমি মনে হয় ফারুক ভাইয়ের সাথে ৩০-৪০টি ছবি করেছি আরকি। তো আমাদের বেশির ভাগ গ্রামের উপর ছবি গুলোই করা হতো আরকি। তো একটা সময় আমরা ওই মানিকগঞ্জ, নবগ্রাম, ঝিটকা, ওইসব জায়গায় বেশি কাজ করতে হতো। দীর্ঘ তিন-চার মাস একদম শীতকালে আমাদেরকে ওখানে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হতো। 

কিছুই করার নাই। আমাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। তো আল্লাহ.. দুআ করি যেন উনাকে আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করেন। উনার পরিবার.. এতো সুন্দর ভাবি, শি ইজ সো নাইস লেডি। এতো যত্ন নিয়েছেন ফারুক ভাইয়ের, এবং আমার বাসায় এসছেন, ভাবিও এসছেন। রান্না করে নিয়ে এসছেন। আমিও.. আমরা তিন বোন উনার বাড়িতে গেছি, যখন ওইযে কিডনির সমস্যা হল তখন। দোয়া করবেন, আমিও সবাইকে ইয়ে করি। উনি

মানুষ হিসেবে যেরকম ভাল, আর্টিস্ট হিসেবেও সেরকম অদ্ভুত , ভাল। প্রতিবাদী চরিত্রে উনার উপরে কেউ ছিলেন না।

জেপি নিউজ ২৪ ডটকম/ডেস্ক