গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে টানা চতুর্থ দিনের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১৪৭ জন।
শুক্রবার (১২ মে) ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী পিআইজে'র এক শীর্ষ নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের ষষ্ঠ সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত চার দিনে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৪৭ জন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক খবরে বলা হয়, শুক্রবার গাজার আন-নাসর এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে সবশেষ বিমান হামলাটি চালানো হয়। হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের একজন কমান্ডার রয়েছেন। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি জানিয়েছে, নিহত কমান্ডারের নাম আইয়াদ আল-আব্দ আল-হাসানি ওরফে আবু আনাস।
ইসরাইলিদের লাগাতার বিমান হামলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে গাজা উপত্যকায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। অপরদিকে ইসরাইলি বাহিনী গাজার আবাসিক এলাকাগুলো যে হামলা চালিয়েছে, তার প্রতিশোধ স্বরূপ ইসরাইলের গভীরে রকেট হামলা চালিয়েছে প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। ইসরাইলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) ইসরাইলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ৬ শতাধিক রকেট ছুড়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে কয়েকজন ইসরাইলি হতাহত হয়েছেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ভবন।
এখন পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় এক হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। এসব রকেট হামলায় একজন নিহতের খবর দিয়েছে ইসরাইলের গণমাধ্যম।
জেপি নিউজ ২৪ ডটকম/ডেস্ক