উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বঙ্গোপসাগরের একই এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান। 

তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। 

আজিজুর রহমান জানান, এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকাল ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার উত্তর ও মায়ানমার অতিক্রম করতে পারে।

উপকূলবর্তী কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলাও আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং এই অঞ্চলের দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র বিষয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দুর্যোগ সতর্কতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা 'গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কো–অর্ডিনেশন সিস্টেম (জিডিএসিএস)'। এই মুহূর্তে বিশ্বে চলমান দুর্যোগগুলোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

জেপি নিউজ২৪ ডটকম/ডেস্ক