"পাঁচশো টাকা বরাদ্দ পেলেও হরিরামপুরের নদী ভাঙন রোধে কাজ করেছি। সচ্ছতার সাথে কাজ করেছি। ৫০ বছরে কেউ যে কাজ করেনি। আমরা তা করেছি। রিতার বাড়ি হরিরামপুর হওয়া সত্বেও কাজ করেনি। কারণ তাদের দরদ ছিল না। কাজ তো করেছি আমরা। তাই দরদ ও আমাদেরই বেশি। হরিরামপুরে আসলেই বলে আপা, বিদ্যুৎ লাগবো। এ কারণে আমি সিংগাইরের আগে হরিরামপুরে শতভাগ বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করেছি।"
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে রামকৃষ্ণপুর, গোপীনাথপুর ও কাঞ্চনপুর তিনটি ইউনিয়নের যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে গোপীনাথপুর মজমপাড়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, "বিএনপি- জামাত চায় মানুষ ভিক্ষুক থাক, যাতে জঙ্গি বানানো যায়। পনের বছর আগে এ রাস্তায় একটা রিক্সাও চলতো না। আজ এই গ্রামের মধ্য দিয়ে পাকা রাস্তা হয়েছে। হরিরামপুরে ১৫ বছরে নদী ভাঙন রোধসহ শত শত কোটি টাকার কাজ করছি। একটা টাকাও কারো কাছ থেকে পার্সেন্টেজ খাই নাই।"
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান চৌধুরী মিল্টনের উদ্বোধনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন অ্যাডভোকেট।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা উত্তর বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ আসমান হোসেন, রোজিনা আক্তার রিমা, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জার রাজা, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাফর ইকবাল বিপুল প্রমূখ।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান সেন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম- আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফরিদ মোল্লা ও মোঃ কামাল হোসেন। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লাল মিয়া মেম্বারের সঞ্চালনায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেপি নিউজ২৪ ডটকম/প্রতিনিধ -জ.ই.আকাশ