জেপিনিউজ২৪ ডটকম:
রাজধানীর নিউ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩০ টি ইউনিট। এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মার্কেটের ভেতরে ঢুকে মালামাল বের করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের আহাজারি আর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকা।
ব্যাবসায়ীরা বলছেন, সামনে ঈদ, সেইসাথে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ও পহেলা বৈশাখ থাকায় ভালো ব্যবসা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকার পর দোকান বন্ধ করে অধিকাংশ ব্যবসায়ী বাসায় ফিরে যান। এরপর ভোরবেলা তারা পান আগুনের সংবাদ।
তারা আরো বলেন, অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় প্রায় কেউই আর বাসায় টাকা নিয়ে যাননি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ক্যাশে বেশ ভালো টাকা থেকে গিয়েছিল। করোনা কারণে গত কয়েক বছরে ব্যবসা না হলেও এবছর ঈদে সে ক্ষতি পুষানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। ব্যবসাও বেশ ভালোই হচ্ছিল। প্রায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীর ক্যাশে অনেক টাকা রয়ে গিয়েছে। একইসাথে ঈদ উপলক্ষ্যে দোকান গুলোতে লাখ লাখ টাকার মালামালও তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরিবার নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি। আগুনে সব শেষ। এখন পরিবার কিভাবে চালাবো? আর পাওানাদারের টাকাই বা কিভাবে শোধ করবো? ইমন নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তাদের আন্ডার গার্মেন্টসের দোকান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনিসহ দোকানের কর্মচারীরা মালামাল বের করে আনছেন। তবে এখনও সব মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।
আরেক ব্যবসায়ী বলছেন, ভাই রাত ৩ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়েছি। আর সকাল ৬ টায় পেলাম আগুনের সংবাদ। আমার ক্যাশে অনেক টাকা ছিল। ভাই আমি শেষ। আমার আর কোন সম্বল বেঁচে নেই। একথা বলার সময় অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
শনিবার ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ টি করা হয়েছে।
জেপিনিউজ২৪ডটকম/শ