জেপি নিউজ ২৪ ডটকমঃ
রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহু বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের একজন মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল ওরফে বাবুল মোল্লা (৫৫)। তিনি পৌর এলাকার চর বেউথা গ্রামের মৃত শেখ মো: সাহেব আলীর ছেলে।
বাবুল ঢাকায় প্রেস প্রিন্টিং সাপ্লায়ার হিসাবে কাজ করতেন। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
বুধবার(৮ মার্চ) সকালে জানাযা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সকাল ৭ টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাবুলের বাড়িতে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ভীড়। বাড়ির আঙ্গিনায় খাটিয়ায় মরদেহ রাখা হয়েছে। স্ত্রী, সন্তান আর স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আকম্মিক এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, বাবুলের ১ ছেলে ২ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে।ছেলে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। খুবই ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনার বর্ননা দিয়ে নিহত বাবুলের বন্ধু আবুল বাশার জানান, গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ওই ভবনের নিচ তলায় তার বিসমিল্লাহ স্যানেটারি নামে একটি দেকান আছে। তারা ১০ বন্ধু মিলে টাঙ্গাইলে সবেবরাত উপলক্ষে একটি ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো। ট্টেনের টিকিট ছিলো নিহত বাবুলের কাছে। বিকালে বাবুল তার দোকানে আসলে যাওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল। বাবুলকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাশার ওয়াশরুমে যায়। এসময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিচ তলা ধ্বসে পড়ে। চারদিক লন্ডভন্ড। বাশার ফিরে এসে ধ্বংসম্তপের মধ্যে বন্ধুকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ছুটে আসেন স্বজনরাও।ধ্বংসস্তপে চাপা পড়ে বাবুলের মরদেহ বিকৃত হয়ে যায়। তার পড়নের জুব্বা ও তসবি দেখে মরদেহ সনাক্ত করা হয়।
নিহত বাবুলের ভাস্তি জামাই আব্দুর রশিদ জানান, বাবুলের শরীর থেকে একটি হাত বিচ্ছিন্ন ছিলো। হয়তো হাতটি দুর্ঘটনাস্থলেই রয়ে গেছে।
হাসপাতাল থেকে রাত চারটার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। বাড়ি আনার পথে তার পীরের দরবার শরীফ সিদ্দিক নগরে নামাজে জানাযা দেয়া হয়। এরপর সকাল ৯ টায় বাড়ির পাশে চর বেউথা বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জানাযা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।