রহিদুল ইসলাম, রাজশাহী:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে তোলা হয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভুয়া চিকিৎসক ও ভুল চিকিৎসার কারণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে অনেক। এবার ভুয়া চিকিৎসককে আটকের পর ভ্রাম্যামাণ আদালত বসিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে উপজেলার কয়েকজন সাংবাদিককে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে পুঠিয়া থানায় একটি (জিডি) করেছেন ওই সাংবাদিকরা।

জানা গেছে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে দৈনিক ‘সময়ের আলো’ ও রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক উত্তরা প্রতিদিন পত্রিকার পুঠিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো রকিবুল হাসান ও দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার পুঠিয়া প্রতিনিধি আবু হাসাদ কামাল রোগী সেজে চিকিৎসা সেবা নিতে যান সাথী ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টারে। এসময় আরও ক’জন সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে চিকিৎসকের পরিচয় জানতে চান। তবে তার আগে একজন পুরুষ ও এক নারী রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন মিন্টু নামের এক ব্যক্তি।

তবে তিনি নিজেকে একজন চিকিসকের সহকারী ও পরামর্শক পরিচয় দেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  আরএমও ডা: আলামিন সরকার উপস্থিত হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী মিন্টু নামের ওই ব্যক্তি  নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ওই ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকদের মিথ্যে মামলা, প্রাণনাশের হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। এ নিয়ে পুঠিয়া থানায় একটি জিডি করেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, পুঠিয়া পৌর সদরে কৃষ্ণপুর এলাকায় সরফরাজ মিন্টু নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসক পরিচয়ে সেবা দিয়ে আসছিলেন। যদিও তার চিকিৎসা বিষয়ে কোনও ডিগ্রি নাই। এছাড়া রোগী দেখার জন্য ২00 টাকা করে নিতেন। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।

জেপি/নি-২০/প