প্রতিনিধি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে দুই হাজার ফিট খনন কাজ শেষ করে নাব্য সংকট নিরসনের পর ১২ দিন আবারো চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ৭টি পন্যবাহী পরিবহন নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা রৌমারীর উদ্দেশ্যে চিলমারী ঘাট হতে ছেড়ে গেছে৷
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান।
এর আগে, ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্য সংকটের কারণে গত ৮ নভেম্বর হতে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বুধবার দুপুর হতে এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুপুর দেড়টার দিকে ৭টি পণ্যবাহী পরিবহন নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা রৌমারী ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এখন ধারাবাহিকভাবে অপর ফেরি কদম-ও চলাচল করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চিলমারী বন্দর ঘাটে আটকা পড়া দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর বিকল্প পথে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রমনা ঘাট থেকে চলে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। ১২ দিনে প্রায় ২ হাজার ফিট এলাকা খনন করা হয়েছে। খননের সব ধরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। নির্বিঘ্নে ফেরি চলাচলের জন্য নদীর বিভিন্ন স্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এই নৌ-পথে ফেরি চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসি'র চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, রৌমারীর বলদ মারা ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় ফেরি বিভিন্ন জায়গায় মাটির সঙ্গে আটকে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখে খনন করা হয়। মঙ্গলবার খননকাজ শেষ হয়েছে।
জেপি/নি-২০/এমএইচ