আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর:

রংপুরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মাদক মামলা করার অভিযোগ উঠেছে, এলাকাবাসীর দাবি তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করা হোক।

সরেজমিনে জানা যায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানাধীন চরচতুরা গ্রামের সদ্দিন আমিনের ছেলে মো. আমিনুর। তিনি পেশায় একজন মাছ চাষী এবং টাংরিরর বাজারে তার একটি হোটেল ও কাপড়ের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি র‌্যাব, পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করতেন।

গত ৬ নভেম্বর বুধবার বিকেলে দালালহাট-টাংরিরবাজার সড়কে মোহনীর মিলের সামনে থেকে শাহাজালালকে ফেন্সিডিলসহ আটক করে হারাগাছ থানা পুলিশ। এর পরদিন জানা যায় মাদকসহ শাহাজালালকে আটকের ঘটনায় আমিনুরকে ৩ নম্বর আসামি করে তিনজনের নামে হারাগাছ থানায় মাদক মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় আমিনুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার কিছুই জানি না, মাদকসহ শাহাজালাল আটকের সময় আমি আমার বাড়ির পাশে পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছিলাম। মাদকসহ আটকের ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি ও দোকানের গুরুত্ব অনেক দূর।

অথচ গত ৬ নভেম্বর হারাগাছ খানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। আমি র‌্যাব-পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতাম, তাই শাহাজালাল ও তার সহযোগীদের ধারণা আমি পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাকে ধরিয়ে দিয়েছি। ওই ঘটনার পর শাহাজালাল ও তার সহযোগীরা আমাকে শত্রু মনে করে। এরই জেরে গত ৬ নভেম্বর ফেন্সিডিল সহ আটক শাহাজালাল পুলিশকে জানায় আমিও তার সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িত। আমি কোনো দিন মাদকের বেচাকেনার সাথে জড়িত ছিলাম না। আপনারা এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিতে পারেন। তিনি বলেন, আমি মাদক ব্যবসা করে থাকলে আইন যে শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নেবো দোষী না হলে আমার নাম কর্তন করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আমিনুরের স্ত্রী, ছেলে সুমন ও জামাই আলমগীর বলেন, তিনি (আমিনুর) দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গোপনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। মাদক সেবন ও বেচাকেনার কোন মামলা তার নামে নাই। অথচ ৬ নভেম্বরের ঘটনায় মাদকসহ আটক শাহাজালালের কথায় পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত না করে মামলায় তাকে (আমিনুর) আসামি করেছে। তারা আরো বলেন তদন্ত করে যদি তিনি (আমিনুর) দোষী হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক তা না হলে তার নাম মামলা হতে কর্তন করা হোক।

এলাকাবাসী সাদুল ইসলাম, জহুরুল হক, রফিকুল ইসলাম, পলাশ জসিম, বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, আমরা তাকে ছোট বেলা হতে চিনি, তিনি ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা সত্য তিনি র‌্যাব-পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন, যা অনেকের কাছে অপছন্দের। তবে আমাদের জানা মতে তিনি কখনো মাদক সেবন বা ব্যবসা করতেন না। এ সব করলে আমরা অবশ্যই জানতাম। আমরা এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই তদন্ত করে যদি তিনি মাদক সেবন করেন বা ব্যবসা করে থাকেন তবে তার শাস্তি হোক, নচেৎ মামলা থেকে তার নাম কর্তনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, মামলা কাগজ দেখে তদন্ত করে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তার নাম কর্তন করা হবে।

জেপি/নি-১২/প