ডাসারে কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি
প্রতিনিধি, মাদারীপুর:
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কমপক্ষে ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় ওই কলেজের অধ্যক্ষসহ হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের রহস্যজনক ভুমিকা থাকায় তাদের অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুনরায় হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় অনেক শিক্ষার্থী কলেজ ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে।
শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ওই কলেজে আযান দেয়ার জন্য একটি মাইক এনে ফিট করার জন্য প্রস্তুতি নেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিক্ষার্থী পল্লব, সৈকত, লিখন, বহিরাগত মিঠুন ও সম্রাটসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাতে কলেজ হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন আলভী রহমান, আফজাল, হাসিবুর ও নাহিদসহ কমপক্ষে ৭ জন শিক্ষার্থী। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আলভীর বাবা মো. মজিবুর রহমান বাদি হয়ে ১০ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তবে এ হামলার ঘটনায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ, হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বিমল পন্ডে ও শিক্ষক লিটন দত্তের রহস্যজনক ভূমিকা থাকায় তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সচেতন মহল।
শিক্ষার্থী অভিভাবক ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, হামলার ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ ও হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বিমল পন্ডে ও শিক্ষক লিটন দত্তের রহস্যজনক ভূমিকা থাকায় তাদের অপসারণের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। হামলার ঘটনায় কোনো শিক্ষকের রহস্যজনক ভূমিকা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোনো শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় কলেজ থেকে চলে যেতে চাইলে তাকে টিসি দিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওমি মো. মাহামুদ উল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
জেপি/নি-১১/এমএইচ
