আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গত তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে উপজেলার গংগাচড়া-মহিপুর সড়কের গান্নার পাড় এলাকা হাঁটু কাদায় পরিণত হয়েছে। চলাচল করতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে সমস্ত যানবাহন।  হলে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সরেজমিন উপস্থিত হলে গান্নারপাড় গ্রামের রফিকুল আসিলাম, বাদশা মিয়া, আজিজুল ইসলাম, আলম মিয়া, মামুন, আব্দুর রহমানসহ অনেকে জানান, এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজারো মানুষ গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। প্রায় ৪ কি.মিটার রাস্তায় গান্নারপাড় এলাকায় প্রায় এক কি.মিটার এলাকায় হেরিংবন্ড রয়েছে। ফলে প্রতি বছরই গান্নারপাড় এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে হেরিংবন্ড সড়কের মাঝামাঝি প্রায় ৫০ মিটার রাস্তায় গর্ত হয়ে জলাবদ্ধতা ও হাঁটু পরিমাণ কাদার সৃষ্টি হয়। ফলে রিকশা, বাই সাইকেল, মটর সাইকেল, অটো, মাইক্রোবাস, ট্রাক, ট্রলি সবকিছুই চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মাত্র ৫০ মিটার কাদার ফলে মহিপুর-গঙ্গাচড়া সড়কটি ৪ কি.মিটারের পরিবর্তে প্রায় ১৪ কি.মিটার ঘুরে হাবু পাঁচমাথা, বুড়িরহাট হয়ে বাইপাস হিসেবে ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে অর্থ ও সময় দুটোরই কয়েক গুণ অপচয় করতে হচ্ছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, গান্নার পাড়ের ব্যস্ততম এ সড়কটিতে প্রতিদিন হাজারো জনতার যাতায়াত করে। রাস্তাটি হেরিংবন্ড হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষাকালে এখানে প্রায় ৫০ মিটার রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও  কাদার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় বাদশা মিয়া জানান, সড়ক পাকা করা হলে জলাবদ্ধতা ও কাদা থেকে রেহাই পাওয়া যেত। দুর্ভোগ মুক্ত হতো হাজারো পথচারী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় জনতা গংগাচড়া-মহিপুর সড়কের গান্নারপাড় এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত পাকা করণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবো।

রাস্তাটির সমস্যার স্থায়ী সমাধানকল্পে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না জানান, অতি দ্রুতই পাকা করলে একটি প্রকল্প গ্রহণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জেপি/নি-২৯/প