প্রতিনিধি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তীব্র গরমের পর বৃষ্টি শুরু হলে স্বস্তির সাথে বেড়েছে দুর্ভোগও। গতকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, আবার কখনো হালকা, কখনো বা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। কয়েক দিনের তীব্র গরমে নাজাল অবস্থার পর গতকালের পর থেকে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিলেও চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান প্রধান সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ থাকায় যান চলাচলে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে চালকরা। এছাড়াও অন্যদিনের তুলনার বাইরে যাত্রীর চাপ কিংবা পথচারী অনেকটাই কম।
উপজেলার মাটিকাটা মোড় থেকে জোড়গাছ যাওয়ার প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ থাকায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। এতে সড়কের ভালো অংশ কিংবা ভাঙা অংশ বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ছোট যান চালকদের।
এছাড়াও দেখা গেছে, বাজারে কিংবা যে-সব ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেসব পরিষ্কার না থাকায় সহজে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমিনুল ইসলাম নামে এক রিকশা চালক জানান, পেটের দায়ে বৃষ্টির মধ্যেও রিকশা নিয়ে বার হয়েছি কিন্তু আমাদের চিলমারী রাস্তাঘাট খুবই খারাপ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অটো চালক সবুজ মিয়া বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সারাদিন বৃষ্টি থাকায় অন্য দিনের থেকে আজকে যাত্রী অনেক কম আজ বাজার খরচের টাকা জুটবে না। তাছাড়া রাস্তায় গর্ত সব জায়গায় যাওয়াও যাচ্ছে না।
২৬ সেপ্টেম্বর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী- গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২ দিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (৮৯ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২ দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী ১ দিন পর্যন্ত নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
জেপি/নি-২৬/এমএইচ