মো খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, পাশের রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ও সমতার। তবে কোনো ধরনের নতজানু সম্পর্ক হবে না। হাসিনাকে হটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়েছি। কিন্তু তার ম্যাকানিজম এখনও আছে। তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়- আমরা এটা দূর করতে চাই।
বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি মুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মতবিনিময় সভা তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হামজা মাহমুদ এর পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদের, আতিক মুন্সী, জিয়া উদ্দিন আরান, মো. মহিউদ্দিন, খালিদ হাসান, আলী আহমেদ আরাফ সহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন, জুলাইয়ের বিপ্লব ছিলো বৈষম্যের বিরুদ্ধে, কোটা সংস্কারের পক্ষে। সে সময় এদেশের ছাত্র-জনতা একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো। তখন ফ্যাসিবাদী সরকার দাবিগুলোকে তোয়াক্কা না করে হাইকোর্টের মাধ্যমে আন্দোলনকে নির্বিকার বলে বাতিল করেছিলো। তাছাড়া শেখ হাসিনার বিতর্কিত মন্তব্য ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি না দিয়ে রাজাকারের ছেলে-মেয়েদের চাকরি দিবে কি না’ এই বক্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ছাত্র-জনতা।
তার দুদিন পর ১৫ জুলাই ছাত্র-জনতার উপর হামলা করা হয় এবং ১৬ তারিখ আবু সাঈদ সহ ৬ জন সংগ্রামী ছাত্র শহীদ হয়েছে। ছয়টি তাজা রক্ত ঝরে পড়ার পর এটি শুধু কোটা আন্দোলন ছিলো না। ছয়টি লাশের বিনিময় কোটা আন্দোলন হতে পারে না। তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যার নির্দেশে এই রক্ত ঝড়ানো হয় তাকে পতন না করানো পর্যন্ত ছাত্র জনতা রাজপথ ছাড়বে না। আর তাই হয়েছে।
আব্দুল কাদের এ সময় বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে তাদেরকে জানানো হয়েছে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেকের পরিবারে একটি করে চাকরি দেওয়া হবে। ফাউন্ডেশন গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
এছাড়াও বক্তারা বলেন, দেশ গঠনে নেতা নির্ভর নয়, নীতি নির্ভর শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তারা বৈষম্যহীনভাবে দেশের সকল জেলার উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরে তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় শহীদ পরিবারের পক্ষে সাকিব আনজুম এর শুশুর হাজী শাহজাহান মোল্লা ও তানজিল মাহমুদ সুজয় মা বোন তাদের আবেগ ও শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন।
জেপি/নি-১২/প