কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে আদালতের নতুন সিদ্ধান্ত
ভারতীয় সিনেমা বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। গত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তার ‘ইমার্জেন্সি’। কিন্তু আদালত এ ছবিটির মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ দেন। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’ ছাড়পত্র পেয়েছে। তিনটি দৃশ্য বাদ দেওয়াসহ ও কিছু সম্পাদনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ছাড়পত্রে। ১৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির পরে মুক্তির তারিখ জানানো হবে।
ছবিটি বিভিন্ন বয়সের লোকেরা দেখতে পারে, তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে তা অভিভাবকদের অনুমতি লাগবে। এছাড়া সিবিএফসি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এই ছবিতে দেখানো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সময় 'ডিসক্লেমার' দিতে বল্য হয়েছে।
জানা গেছে, 'ইমার্জেন্সি' সিনেমার যে দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশি শরণার্থীদের আক্রমণ করছে। বিশেষত, একজন সেনার হাতে একটি শিশুর মাথা থেঁতলে দেওয়ার দৃশ্য রয়েছে এবং তিনজন নারীর শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে। কমিটি ছবির একটি জায়গায় উল্লিখিত একটি পরিবারের পদবি পরিবর্তন করতেও বলেছে।
সেন্সর বোর্ড থেকে ইমার্জেন্সি ছবিটি ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব ছাড়া অন্য সমস্যাও রয়েছে। ছবিটি নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিষ সংগঠনগুলো। অকাল তখত এবং শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি সহ বিভিন্ন শিখ সংগঠন ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে শুরু করে গত মাস থেকেই। সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি ও পাঠায় তারা। যে কারণে একাধিক বার পিছিয়েছে এই ছবির মুক্তি।
এই ছবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। তার আমলে ভারতে যে একুশ মাস জরুরি অবস্থা জারি ছিল, সেই সময়কেই তুলে ধরা। হয়েছে। ছবিতে চিত্রনাট্য ও পরিচালনা ও অভিনয়, তিনটিরই দায়িত্ব পালন করেছেন কঙ্গনা রানাউতের।
জেপি/নি-৯/প
