অবিশ্বাস্য কামব্যাকে উড়ে গেল স্লোভাকিয়া, কোয়ার্টারে ইংল্যান্ড

এযাবৎকালে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে কোনোদিন হারের মুখ দেখেনি ইংল্যান্ড। তবে শক্তিশালী ইংল্যান্ডে নেই তারকার অভাব তবুও স্লোভাকিয়ার যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল তারা। প্রথমার্ধে গোলে হজম করে মূল সময় শেষ হয়ে গেলেও সেই আর পরিশোধ করে পারেনি কেইনরা।

তবে শেষ সময়ে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল শটে দলকে সমতায় আনেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। যার ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ৯১ মিনিটে হ্যারি কেইনের গোল করলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অবশেষে ১২০ মিনিটের জমজমাট লড়াইয়ের পর ২-১ ব্যবধানে স্লোভাকিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রবেশ করে ইংল্যান্ড।

ম্যাচ শুরু ৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় স্লোভাকিয়া। কিন্তু কাজে লাগাতে পারে নি তারা। ২৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পান কেইন। তবে তার সেই দারুণ শট আটকে দনে স্লোভাকিয়ার ডিফেন্ডারের। এই সুযোগে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেভিড স্ট্রেলেকের বাড়ানো বল থেকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের সোজাসুজি শটে গোল করে স্লোভাকিয়াকে অবিশ্বাস্যভাবে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইভান শ্রানজ।

এই গোলের মাধ্যমে এবারের ইউরোতে ৩ গোল করে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উপরে উঠে আসলেন শ্রানজ। ৩৯ মিনিটে গোলের চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেকলান রাইস। তবে তার হেড রুখে দেয় ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলমুখে শট নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্লোভাকিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫০ মিনিটেই ট্রিপিয়ারের দারুণ ক্রসে গোল করেন ফিল ফোডেন। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় ফোডেন অফসাইডে ছিলেন। গোল বাতিল করেন রেফারি। ম্যাচে আর ফিরে আসা হয়নি ইংল্যান্ডের।

৫৫ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পান স্টেরেলেক। গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসলেও তার মাথার উপর দিয়ে গোল করতে পারেননি এই স্লোভাক ফুটবলার। ৬৬ মিনিটে ট্রিপিয়ারকে বদল করে কোল পালমারকে নামান কোচ

এরপর আর কোনো ভাবেই ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না ইংল্যান্ড। ১-০ গোলে পরাজয়ে শেষ ষোলো থেকে পরাজয়ের প্রহর গুনছে ইংল্যান্ড। ঠিক এমন সময় ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে এলেন মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। শেষ সময়ে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল শটে দলকে সমতায় আনেন তিনি। তার গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বাকি কাজটুকু সারেন হ্যারি কেইন। অতিরিক্ত সময়ে ৯১ মিনিটে হ্যারি কেইনের গোল করলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অবশেষে ১২০ মিনিটের জমজমাট লড়াইয়ের পর ২-১ ব্যবধানে স্লোভাকিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রবেশ করে ইংল্যান্ড।

জেপি/নি-১/প